BREAKING NEWS সোশ‍্যাল মিডিয়ায় ছড়াচ্ছে গুজব : হুগলী জেলার ১১ টি থানা এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের নির্দেশ

13th May 2020 হুগলী
BREAKING NEWS সোশ‍্যাল মিডিয়ায় ছড়াচ্ছে গুজব : হুগলী জেলার ১১ টি থানা এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের নির্দেশ


নিজস্ব সংবাদদাতা ( হুগলী ) : সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়াচ্ছে  গুজব, উত্তেজনা।  তা রুখতে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলো জেলা প্রশাসন। হুগলীর ১১টি থানা এলাকায় ইন্টারনেট বন্ধ থাকবে । ১৭ মে পর্যন্ত চন্দননগর সহ শ্রীরামপুর মহকুমার ১১টি থানা এলাকায় বন্ধ থাকবে ইন্টারনেট।   চন্দননগর, ভদ্রেশ্বর,শ্রীরামপুর,  উত্তরপাড়া, রিষড়া, সিঙ্গুর, চণ্ডীতলা জাঙ্গিপাড়া,   তারকেশ্বর,হরিপাল , ডানকুনি ।পাশাপাশি ডিশটিভি, কেবল টিভির সংযোগ ও পরিষেবা।গত মঙ্গলবার ফের উত্তপ্ত ভদ্রেশ্বরের তেলিনিপাড়া, দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে  বোমাবাজি,  মঙ্গলবার রাতে চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার  হুগলীর পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) যৌথ নির্দেশিকা জারি করে ইন্টারনেট বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। ভোডাফোন, জিও, বিএসএনএল, আইডিয়া, এয়ারটেল, সার্ভিস-সহ সমস্ত কেবল টিভির ইন্টারনেট সংযোগও বিচ্ছিন্ন রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংস্থাগুলিকে। সমাজবিরোধীরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে গুজব ছড়াচ্ছে। তা রুখতেই প্রশাসন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি আইন ২০০০ সালের অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।